ফেনী জেলা সমিতি, চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪    ০৪ : ৫৭ : ০৪
Logo

সভাপতির বক্তব্য

সভাপতির বক্তব্য 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নদ-নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত শিল্প-বানিজ্য, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী এই বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এই নগরীতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক ফেনীবাসী স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নিজেদের জন্মস্থানের মতই আপন করে নিয়েছে তারা এই চট্টগ্রাম নগরীকে। তাদের মধ্য হতে কতিপয় সৎ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মহৎপ্রাণ, দানশীল ফেনীবাসীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রামে বসবাসরত ফেনীবাসীর বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে পরিচিতি, আস্থা ও নির্ভরশীলতার সম্পর্ক জোরদার করা এবং সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন সুদৃঢ় করা মানসে শুরুতে ফেনী এসোসিয়েশোন নামে এই সমিতির সূচনা হয়। অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে তাঁদের সে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমি প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরন করছি। তাঁদের মধ্যে আজ অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনা করছি। সময়ের প্রেক্ষাপটে পরে ১৯৮৫ সালে সংবিধান সংশোধনীর মধ্যমে এই সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে আজকের এই ঐতিহ্যবাহী গৌরবদীপ্ত সংগঠন ফেনী জেলা সমিতি চট্টগ্রাম নামকরণ করা হয়। আজ বহুবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে এটি মহীরূপে প্রতিষ্ঠিত এবং অন্যনা সংগঠনের নিকট অনুকরনীয় আদর্শ প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রামে বসবাসরত ফেনীবাসীর নিকট ফেনী জেলা সমিতি চট্টগ্রাম অত্যন্ত প্রাণপ্রিয় সংগঠন। প্রত্যেকটি ভাল কাজের পিছনে রয়েছে সৎ ও দানশীল ব্যাক্তির উদ্যোগ। এটি আজ চট্টগ্রামের গন্ডি পেরিয়ে সারা দেশের মানুষের নিকট সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ উন্নয়ন, মেধার বিকাশ লালন ও শিক্ষা প্রসার, বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহের পালনের মাধ্যমে এই সমিতির কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি চিকিৎসাধর্মী কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনায়নের লক্ষ্যে এবং স্থায়ীভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে “ফেনী জেলা সমিতি ফ্রি ক্লিনিক প্রকল্প” চালু করা হয়েছে। সমিতির ফ্রি ক্লিনিক প্রকল্পে প্রাপ্ত অনুদান দিয়ে সমিতি ভবনে পরিচালিত ফ্রি ক্লিনিক এবং ভ্রাম্যমান ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এই ব্যবস্থায় দুঃস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষুধ সরবরাহ করা হয়। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৭,০০০ দুঃস্থ রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।